ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ফিরলে শেষ ফেরা 

ননীগোপাল চক্রবর্তী

প্রকাশিত : ১৬:২৩, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ১৯:২১, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

খোকা ফিরল বটে - নিস্তব্ধ, রক্তাক্ত নিথর দেহ তার
আগেও এসেছে অনেকবার। 
শ্রান্ত ক্লান্ত মাথায় থাকতো ভাষা আর জনতার ভার
মা-বাপের পাশে, পত্নীর সাথে কদিন থেকেছে হায়।
জেলের ভিতর পনের বসন্ত কেটেছে নিঃসঙ্গতায়! 
ছবি এঁকেছিল সোনার বাংলার ভবিষ্যৎ স্বপ্নদ্রষ্টা 
বজ্রকণ্ঠে জনসমুদ্রে ঘোষিত হলো সেই বার্তা।
বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো যুদ্ধ ছাড়া নাই রক্ষা।
রক্ত দিতে শিখেছি আমরা নিয়েছি বজ্র কঠিন দীক্ষা।

সশস্ত্র সেই হানাদার সাথে নয় মাস হলো যুদ্ধ 
নিরস্ত্র বাঙালির রুধির ধারা দেখে প্রতিবেশী হল ক্ষুব্ধ।
স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান গভীর বিশ্বাসে ভরা বুক
ভাবেনি কখনো এই জনতাই ঝাঁঝড়া করবে তার বুক।  

কুচক্রীদের গোলামী স্বার্থের সূর্য বুঝি ডুবে যায়
বিজাতির পদ লেহনকারীরা জ্বলে পুড়ে মরে হিংসায়।
স্বাধীনতা বিরোধী, হীনমন্যবাদী, বিপদগামী সব জোয়ান
ধ্বংসযজ্ঞের নকশা সাজায় মীরজাফর আর বিভীষণ 
পনেরই আগস্ট অন্ধকারে বুলেটে বুলেটে ঝাজরা করে 
জাতির জনকে।
সাথে স্ত্রী-পুত্র আত্মপরিজন ছোট্ট রাসেল আর 
বাঁচলো মাত্র দুই বোন বিদেশ ছিল তখন এ যেন স্রষ্টার করুণা অপার। 

ওরা ভেবেছিলো মুছে দেবে চিরতরে স্থাপতির ইতিহাস
দিয়ে কালা কানুন জালালো যে আগুন সে বড় নর পিশাশ।
মানবতার মুখোশধারীরা কোথায়  ছিল তখন, করেনিত 
কোন হা- হুতাশ।

বত্রিশ নম্বরে রক্তের দাগ টুংগীপাড়ায় মাটি 
হাজারে হাজারে মানুষ আসে জানাযায় হবে সাথী 
দেয়নি ঘেষতে কাছে তাদের , দেখতে দেয়নি মুখখান
পাঁচশ সত্তর সাবানে গোসল, অঙ্গে দিল সাদা থান।
বিদ্যুৎ বেগে কবর দিয়ে পালালো গোলামের এর দাস 
ভেবেছিল ওরা মাটি চাঁপা দিল বাঙালির জাতীয় ইতিহাস।

কান পেতে শোনো জাতির জনক, তোমার জ্যেষ্ঠ কন্যা
দেশের সেবায় তোমার স্বপ্নে হয়ে আছে  নিমগ্না।
তোমার মতোই শক্ত তত, অন্যায়ের কাছে হয়না নত
দেশ দরদী সতর্ক অতি বাড়ায়ছে উন্নয়নের সৌন্দর্য শত।
বাংলা এখন গর্বের দেশ, মডেল বিশ্বের কাছে
হিংসুটে যারা ছদ্মবেশে তারা আজও ওত পেতে বসে আছে। 
ফিরলে শেষ ফেরা  
ঘুমাও তুমি শান্তির ঘুম বাংলার স্থাপতি 
এমনি করেই প্রজন্মোত্তর গাইবে স্তুতি । 


এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি